অসৎ সঙ্গীর অভাবে

0
66
শুধু অসৎ সঙ্গীর অভাবে প্রতি সন্ধ্যায় শুড়িখানা রোডে যেতে পারি না।
সৎ সঙ্গে নির্বাসিত স্বর্গে আছি।
অথচ প্রতি সন্ধ্যায় অন্ধকার ঘনিয়ে এলে কবিতা লেখার জো আসে,
তখন চোখ ঝাপসা হলে জোনাকি দেখা সহজ হয়ে যায়।
নরক যাত্রার মিছিলে দীর্ঘ সারি,
নীলচে আগুনের ওম আর বিষধর সাপের ছোবল ভুলে এসি ঘরে বিড়ি খায়।
আমি শুধু ঘুম চোখে মানুষকে ঝাপসা হয়ে যেতে দেখি,
ভেজা বৃষ্টির দিনে শুড়িখানা রোড ব্যস্ততম, জমজমাট ভীষণ।
গাড়ির কাঁচে সর্পিল রেখা,
আজ একটু বেশি দাম দিয়ে যন্ত্রণা কিনতে হবে।
এখন চার মাত্রায় সীমা মিলেছে অসীমে,
ওয়াইপার দিচ্ছে স্বচ্ছ দৃষ্টির বিজ্ঞাপন,
নাক দিয়ে মাথায় ঢুকে গেছে নমরুদের মশা,
একনাগাড়ে হুল ফুটাচ্ছে,
মাকড়সার জাল ছিন্ন যেন ফিলামেন্ট তার,
সংযোগের অভাবে দুলছে মুখোমুখি।
আমার প্রতি পদক্ষেপে কফিনে পেরেক ঠোকার আওয়াজ পাচ্ছি,
ক্রমাগত টিক টিক টিক।
অসৎ সঙ্গীর অভাবে ভর রাত কাওয়ালি শুনতে পারি না,
যেখানে ক্লিভেজে টাকা গুজে গুজে দিতে হয়,
নরমে গরম বিজলি চমকায়,
ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম, ডাউন ডাউন ক্রাশ ক্রাশ,
আমার সাদা রঙের পানি লাগবে।
সাইবেরিয়াতে আজ মাইনাস তাপমাত্রা,
এখান থেকেই আগুনের যোগান দিতে হবে।
অসৎ সঙ্গীর অভাবে আমি আজ জ্বালানি সংকটে।